ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার 5 তালিকা
ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে সহজে ওজন বাড়ানো যায়। কি খেলে ওজন বাড়ে। যদি আপনি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান এবং খুব সহজ উপায়ে।
.webp)
পেজ সূচিপত্রঃ ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা
- ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা
- ওজন বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য উপকারিতা
- যা খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে
- ওজন বাড়ানোর জন্য কার্যকর ব্যায়াম
- ওজন বাড়াতে যেসব ভিটামিন খাওয়া যাবে
- ওজন বাড়াতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
- ওজন বাড়াতে প্রাকৃতিক ঔষধের গুনাগুন
- ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারিতা
- ওজন বাড়ানোর ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- মন্তব্যঃ ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা
ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা
ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা স্বাস্থ্যকর উপায় ওজন বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকের খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি এই খাবারগুলিতে ক্যালরি স্বাস্থ্যকর চর্বি প্রোটিন ভিটামিন আমিষ খনিজ সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা যায় এবং পেশী বৃদ্ধি করা যায় শারীরিক বিকাশ লাভ করা যায়। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের মানসম্পন্ন পুষ্টি এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে তাদের ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। ওজন বাড়াতে চাইলে শুধু শুধু অযথা তেল চর্বি খাওয়া উচিত নয় বরং স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ওজন বাড়ানো উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন বাড়ানোর জন্য খাদ্য তালিকা আলোচনা করা হলোঃ
- সকালের নাস্তাঃ সকালের নাস্তায় অবশ্যই দুধ, ডিম, কলা বা অন্যান্য যে কোন ফল থাকতে হবে। এর সাথে আপনি খিচুড়ি, পরোটা সামান্য ঘি দিয়ে ভেজে খেতে পারেন এতে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হবে।
- হালকা নাস্তাঃ সকাল ১০ টা থেকে ১১ঃ০০ টার মধ্যে হালকা নাস্তা করার চেষ্টা করুন। যাতে করে আপনার শরীরের পুষ্টির অপূর্ণতা না থাকে। তাই সকালে বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা, আখরোট, শুকনো ফল, কিসমিস, খেজুর বা ফলের জুস খেতে পারেন।
- দুপুরের খাবারঃ দুপুরের খাবার জন্য একটু ভারী রকমের খাবার খেতে পারেন। যেমন ভাত, পোলাও বা রুটি। তার সাথে মাছ, মুরগি বা গরুর মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ, দই ইত্যাদি।
- বিকেলের নাস্তাঃ বিকেলের নাস্তা তে আপনি কিছু শুকনো খাবার বা সামান্য ফল খেতে পারেন। যেমন আলুর চপ, স্যান্ডউইচ, পাউরুটি, এক গ্লাস দুধ, সামান্য কিছু ফল যেমন আপেল, মালটা ইত্যাদি।
- রাতের খাবারঃ রাতের খাবারে আপনাকে অবশ্যই ঘুমানোর দু'ঘণ্টা আগে খেয়ে নিতে হবে যাতে করে আপনার শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। রাতে ভাত, রুটি, ডিম, মাছ, মাংস সবজি, সালাত, ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ বা দুই সাথে খেজুর বা কলা খান এতে করে আপনার প্রোটিনের ঘাটতি কমে যাবে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিদিন তিন বেলা খাবার খান এবং দুই থেকে তিন বেলা নাস্তা খাবেন প্রতিদিন খাবারের প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখবেন। যেমনঃ মাছ-মাংস, ডাল, দুধ ইত্যাদি এবং কার্বোহাইড্রেট খাবারের সাথে রাখতে হবে ভাত, রুটি, আলু ইত্যাদি এবং কিছু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেতে পারেন। যেমন বাদাম ঘি, অলিভ অয়েল ইত্যাদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন হালকা এক্সারসাইজ করুন খুব বেশি জাঙ্ক ফুড অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার থেকে এড়িয়ে চলুন।
ওজন বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য উপকারিতা
- ইমিউনিটি সিস্টেমঃ ওজন কম থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন রকমের রোগ দ্রুত ধরে সঠিক ওজন হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং সহজে অসুস্থ হওয়া থেকে বিরত থাকে এজন্য ওজন বৃদ্ধির স্বাস্থ্যকর উপকারিতা অনেক বেশি।
- হরমনের ভারসাম্যঃ অতিরিক্ত কম ওজন অনেক সময় হরমোনের সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে মহিলাদের মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায় এবং পুরুষদের টেস্টোস্টেরন কমে যায়।
- গর্ভধারণ ও প্রজনন সমস্যাঃ মহিলাদের ক্ষেত্রে কম ওজন থাকলে গর্ভধারণের সমস্যা দেখা দিতে পারে স্বাস্থ্যকর ওজন থাকলে গর্ভধারণ সহজ হয় এবং মা বাচ্চা ঝুঁকি কমে থাকে।
- চুল ও ত্বকের জন্যঃ সঠিক পুষ্টি নি ওজন বাড়াতে পারলে চুল এবং ত্বক উজ্জ্বল হয় চুলের ঘনত্ব বাড়ে এবং মজবুত হয় ভিটামিন ফ্যাটের ঘাটতি থেকে হওয়া চুল পড়া বা শুষ্ক ত্বক দূর হয়ে যায়।
যা খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে
- দুগ্ধ জাত খাবারঃ দই, পনির, দুধ ইত্যাদি খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব। এতে করে আপনার স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিযুক্ত খাবার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ ডিম সেদ্ধ করে বা ভেজে খেতে পারেন। মাছ, মাংস, ডাল, মুগ ডালের স্যুপ, ছোলা ইত্যাদি খেলে প্রোটিনের ঘাটতি কমে যায় এতে করে দ্রুত ওজন বাড়ে।
- স্বাস্থ্যকর ফ্যাটঃ বাদাম, চিনা বাদাম, মাখন, অলিভ অয়েল, নারকেলের তেল, অ্যাডভোকেট ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- কিছু ফলঃ কলা আম খেজুর আংগো কিসমিস শুকনো জাতীয় ফল খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়।
- পানীয়ঃ মিল্কশেক, কলার জুস, প্রোটিন শেখ, ফলের জুস, ইত্যাদি পানীয় খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
- কার্বোহাইড্রেট খাবারঃ ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, রুটি, পাউরুটি, আলু, মিষ্টি আলু, সুজি ইত্যাদি খেলে ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
ওজন বাড়ানোর জন্য কার্যকর ব্যায়াম
- ওজন উত্তোলনঃ ওজন উত্তোলনের মাধ্যমে পেশির শক্তি ও ভলিয়ম বাড়তে সাহায্য করে আপনার বুকের বেশি এবং হাতে শক্তি বৃদ্ধি করে এতে করে আপনার শরীরের পেশী গঠন ঠিক থাকে এবং ওজন স্বাস্থ্যকর ভাবে বৃদ্ধি পায়।
- শারীরিক মৌলিক ব্যায়ামঃ পোশাকের উপর শরীরের বেশি শক্তি শালী করে এগুলো আপনার শরীরের মৌলিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং নিয়মিত করলে শরীরের মোট পেশির ভলিউম বাড়তে সাহায্য করে ফলে আপনার ওজন ও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
ওজন বাড়াতে যেসব ভিটামিন খাওয়া যাবে
- ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ আপনার শরীরে টিস্যু বা কোষ গঠনে সাহায্য করে থাকে এতে আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত করে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন বি কমপ্লেক্সঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ওজন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি আপনার খাবার থেকে এনার্জি শোষণ করতে সাহায্য করে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে।
- ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি আপনার শরীরে সরাসরি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে না এ থেকে পুষ্টির শোষণের সাহায্য করে এবং ইউনিটির সিস্টেমকে শক্তিশালী করে শক্তি বৃদ্ধি করে।
- ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হার বেশি গঠনে সাহায্য করে।
- ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ফলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
ওজন বাড়াতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
ওজন বাড়াতে প্রাকৃতিক ঔষধের গুনাগুন
- আশ্বগন্ধাঃ এই ভেষজ প্রাকৃতিকভাবে ক্ষুধা বাড়ায় হজম শক্তি ভালো করে শরীরের শক্তি বাড়ে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে মানুষের চাপ কমিয়ে ঘুম ভালো আনে যার ফলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- শতাবরীঃ শতাবরী শরীরে ক্ষুধাও হজম বারায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বিশেষ করি মহিলাদের হরমোনের সমস্যা থাকে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- মেথি দানাঃ মেথি থানার শরীরের ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে রক্তের শর্করাস ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়।
ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারিতা
ওজন বাড়ানোর ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- হজমের সমস্যাঃ ওজন বাড়ানোর ঔষধের প্রথমত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো হজমের সমস্যা বমি ভাব ডায়রিয়া পেটে ব্যথা গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
- লিভার বা কিডনির ক্ষতিঃ অনেক ওষুধের কেমিক্যাল থাকে যা লিভার কিডনির তে চাপ ফেলে দীর্ঘদিন খেলে লিভার বা কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- এলার্জিঃ দীর্ঘদিন এই ওষুধ খেলে চুলকানির, ফোলা ভাব বা ব্রণ দেখা দিতে পারে।
অর্গানিক সদাই২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url